দিনাজপুরের খানসামায় শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়ছে ফুটপাতের পুরাতন শীতবস্ত্রের দোকান গুলোতে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের কাপড়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।
বিগত বছরগুলোতে পৌষ মাস থেকে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হলেও এবার আগে থেকেই রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়।
অন্যদিকে স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভে বিক্রি করায় হাঁসি ফুটেছে বিক্রেতাদের মুখে। সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বসেছে পুরনো কাপড়ের ভ্রম্যমাণ দোকান। এসব দোকানে প্রতিদিনই ভিড় করছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।
এ ছাড়াও দেখা গেছে ফুটপাতের এসব দোকানিরা ক্রেতার ভিড় জমাতে দাম হাকছেন ‘মাত্র আশি, আশি বলে।’ এ কারণেই শুধু নিম্ন আয়েরই নয়, ফুটপাতের এসব পোষাকের দোকানে ভিড় করছেন কৌতুহলী বিভিন্ন শ্রেণির পথচারীরাও। তবে কেউ কেউ আবার সেখান থেকে বেছে কিনছেন পছন্দের পোশাক।
আজ সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে খানসামা উপজেলা পরিষদের মেইন গেটে ফুটপাত থেকে ক্রয় করা ইউনুজ বলেন, আমি দুটি মোটা শার্ট কিনেছি ২৫০ টাকায়। এর থেকে আর কম দামে কি পাওয়া যায়।
আরেক ক্রেতা নয়ন বলেন, ‘রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। এদের ডাক হাঁকে দাঁড়ালাম। একটি শার্ট পছন্দ হওয়ায় কিনেও ফেললাম।’
দোকানদার আবুল বলেন, ‘শীতের এসব পোশাক লট ধরে কেনা। গড় হিসেবে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ রেখেই বিক্রি করছি। এখন পুরো শীত না আসায় বেচা কেন কম। তবে সারাদিনে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা লাভ হয়।
এখানে সাধারণত গরীবরাই বেশী আসে।এদিকে, শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার গরম পোশাকের দোকানে ভিড় বেড়েছে। যদিও এখন অনেক দোকান বসেনি।
ছেলেরা মোটা শার্ট, জ্যাকেট ও শুয়েটার কিনছে। তবে অভিজাত দোকানের থেকে এলাকার ফুটপাতের দোকানে ভিড় বেশি হচ্ছে। সাধ ও সাধ্যের এসব ফুটপাতের দোকান থেকে পোশাক কিনছেন মানুষ। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার শীতের পোষাকের দাম বেশি বলেও অভিযোগ ক্রেতাদের।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।